আন্তর্জাতিক

সৌদিতে আরও ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, চলমান এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মিত্র দেশ সৌদি আরবে অতিরিক্ত ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

Advertisement

ইরানকে মোকাবিলা করতে মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় মিত্র রিয়াদ। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে তাদের মোতায়েন বিমানবাহী রনতরি ইউএসএস-বক্সার ইরানের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে ইরান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে পূর্বের মরভূমি এলাকার প্রিন্স সুলতার সামরিক বিমান ঘাঁটিতে এসব মার্কিন সেনাদের পাঠানো হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন এই খবর জানিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র সিএনএনকে বলেছে, ‘ছোট্ট একটি সেনাদল এবং তাদের সহযোগিতা করতে অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। তারা মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের সঙ্গে রানওয়ে এবং আকাশপথের সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন।’

Advertisement

আরও পড়ুন> যুক্তরাষ্ট্র ভুলে নিজেদের ড্রোন ভূপাতিত করেছে : ইরান

গত মাসের শেষে এবং জুলাইয়ের শুরুতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সৌদিতে সেনা মোতায়েনেরে উদ্দেশে ওই এলাকায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (এমআইইএস) পরিচালক ছবিগুলো পর্যালোচনা করেছেন।

এমআইইএস এর পরিচালক জেফরি লুইস সিএনএনকে বলেন, ‘গত ২৭ জুনের ছবিতে রানওয়ের একেবারে শেষ প্রান্তে সেনাশিবির এবং নির্মাণ যন্ত্রাংশ দেখা যায়। রানওয়ের পূর্বদিকে যে সেনাশিবির করা হয়েছে তাতে সাধারণত বিদেশে ইঞ্জিয়ারিং স্কোয়াড্রন মোতায়েন করা হয়।’

দুই মাসে উপসাগরে তেল ট্যাঙ্কারে হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করা শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক হাজার সেনাসহ অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে দেশটি।

Advertisement

এসএ/এমএস