সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে পচা মুরগি পাওয়ায় এর মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ‘অলিম্পিয়া প্যালেস’নামক রেস্টুরেন্টটি এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, নতুন কাউকে রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ দেয়ার জন্য এখন টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
গত ১৯ জুন পচা মরগি পাওয়ার পর ওই দিনই দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন > সুপ্রিম কোর্টের রেস্টুরেন্টে পচা মুরগি, দুই লাখ টাকা জরিমানা
Advertisement
এরপর ২৩ জুন আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেস্টুরেন্টটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন এই মালিকের কোনো প্রতিষ্ঠান আর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যবসা করতে পারবে না।
সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন রেস্টুরেন্টটিকে ওই দুই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেছিলেন।
যদিও মাত্র দুই লাখ টাকা জরিমানা করায় আইনজীবীরা তখন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান খাবারে ভেজাল দিয়ে আমাদের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে তারা ছিনিমিনি খেলছেন আর মাত্র দুই লাখ টাকা জরিমানা! এটা খুবই দুঃখজনক।
তবে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, আপাতত দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২৩ জুন সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে, এই রেস্টুরেন্ট থাকবে কি-না। এখন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বন্ধ করে দেয়া হলো।
Advertisement
আরও পড়ুন > এবার সুপ্রিম কোর্টের রেস্টুরেন্টে পচা মুরগি
আইনজীবী সাহাবুদ্দিন খান লার্জ জাগো নিউজকে বলেন, ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যখন দেশের সর্বোচ্চ আদালত একের পর এক আদেশ দিয়ে যাচ্ছেন- সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের তৃতীয় তলায় ‘অলিম্পিয়া প্যালেস’ রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে পচা মুরগি পাওয়ার ঘটনা বিস্ময়ের। এখন রেস্টুরেন্টেরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এটা খুব ভালো উদ্যোগ।
অপরদিকে গত ১৭ জুন বিকেলে পেঁয়াজুর ভেতর কার্টনের বড় পিন পাওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অন্য একটি ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ১৮ জুন ক্যান্টিন মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে, এ ক্যান্টিনের মালিককে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু ক্যান্টিনটি এখনও চলছে।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম