ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার মূল হোতা সুজন (২০) পালিয়ে গেলেও তার মা জরিমন বেগম ও বোন ইয়াসমিন আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে পুলিশ।
স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, বৃহস্পতিবার কালমেঘ আর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে দশম শ্রেণির দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরছিল তার বোন। এ সময় রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় সুজন আলী ও তার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে ধর্ষণের সময় চিৎকার করলে স্কুলছাত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে তারা। এরপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই দিন সন্ধ্যার পর মোটরসাইকেলে করে ওই ছাত্রীর বাড়ি সামনে ফেলে আসে। রাতেই ওই স্কুলছাত্রীকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গত ৩ মাস ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল সুজন আলী। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে সুজন।
Advertisement
সুজন আলী ও তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে স্কুলছাত্রীর মা জানান, মেয়েকে ধর্ষণের পর বাড়ির সামনে ফেলে যায়। আবার শাসিয়ে গেছে বিষয়টি নিয়ে যেন আইনের আশ্রয় না গ্রহণ করি। কোথায় বাস করছি আমরা। দেশে কি আইন বলতে কিছু আছে?
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সুজন আলী, তার বাবা ইসলাম উদ্দীন, মা জরিমন বেগম, বোন ইয়াসমিন আক্তার এবং সহযোগী প্রতিবেশী ফরহাদ হোসেনকে আসামি করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।
পুলিশ জানায়, তাৎক্ষণিক ধর্ষকের মা ও বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এফএ/জেআইএম
Advertisement