শেরপুরের নকলা উপজেলার কৈয়াকুড়ি গ্রামের পোশাককর্মী মাসুদ মিয়াকে (২২) অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলার রায়ে সাত যুবকের চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নকলার দরবারচর গ্রামের মো. আলী আকবর ওরফে আক্কু মিয়ার ছেলে মো. আবিদুর রহমান ওরফে আবিদ (১৯), মো. সোহেল মেকারের ছেলে মো. মুরাদ হোসেন (১৯), মো. জীবন সরকারের ছেলে নূর রাব্বি (২৬), নারায়ণখোলা গ্রামের পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস ওরফে ডুম্বুর ছেলে প্রবীর বিশ্বাস (২৫), মো. মুকুল সরকারের ছেলে মো. আনিছুর রহমান ওরফে রিংকু (২৫) ও রবিন মিয়া (২০) এবং দুধেরচর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শান্ত মিয়া। এদের মধ্যে প্রবীর বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নকলা উপজেলার কৈয়াকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মুনসুর আলীর ছেলে মো. মাসুদ মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
Advertisement
২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সাজাপ্রাপ্তরা মাসুদ মিয়াকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে কৌশলে নারায়ণখোলা স্কুল মাঠে নিয়ে যায়। পরে তার হাত-পা বেঁধে অপহরণ করে একটি সিএনজিতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাসুদের অভিভাবককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রথমে এক লাখ টাকা ও পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা নেয়ার পর মাসুদ মিয়াকে বিবিরচর বাজারের কাছে গভীর রাতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সাতজনকে আসামি করে নকলা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজ আল আসাদ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এ মামলায় সাতজনকে ৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম
Advertisement