জাতীয়

দুধ নিয়ে ঢাবি শিক্ষকদের রিপোর্ট মিথ্যা : সমবায় প্রতিমন্ত্রী

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, আমদানিকৃত গুঁড়া দুধের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি সময়পোযোগী পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে মিল্কভিটা, তার যে দুধের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার সেটি বন্ধ হবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত পরশু বাংলাদেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে বলছে, মিল্কভিটায় আর্সেনিক আছে। মিল্কভিটা দুধের মধ্যে না-কি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বস্ব মিথ্যা কথা।

আরও পড়ুন > ১৪ ব্র্যান্ডের দুধে আশঙ্কাজনক কিছু নেই : হাইকোর্টকে বিএসটিআই

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকদের একটি গবেষণার কথা সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন।

তবে বাজারে থাকা ১৪টি ব্র্যান্ডের ১৮টি পাস্তুরিত/ইউএইচটি দুধ পরীক্ষা করে আশঙ্কাজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে ২৫ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল বিএসটিআই থেকে রিপোর্ট দেখেছি। সেখানে ফরমালিনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে যত টেস্ট করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে মিল্কভিটা দুধ হচ্ছে পরিপূর্ণ, উপযুক্ত এবং সুস্বাদু। এর বিপরীতে কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়টি আপনার মাধ্যমে, এই সংসদের মাধ্যমে জনগণকে নিশ্চিত করতে চাই। এখন পর্যন্ত যে সব আমদানিকৃত দুধ বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে তার সব ক্ষেত্রে মিল্কভিটা অনেক ক্ষেত্রে ভালো। অনেক ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য এবং পুষ্টিকর।

এইউএ/এনএফ/জেআইএম

Advertisement