দেশজুড়ে

খুলনায় সন্ধ্যা হলেই বাড়ে আতঙ্ক

খুলনায় বেড়েছে অপরাধ। একের পর এক হামলা-খুনের ঘটনা ঘটছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা হচ্ছে। বেড়েছে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য। বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই আতঙ্কে থাকে নগরবাসী। সবশেষ নগরীর তিন জায়গায় মাত্র নয় ঘণ্টার ব্যবধানে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন একজন।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন রোড রেলওয়ে মসজিদের পেছনে মানিক হাওলাদার (৩৫) নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

এছাড়া একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর আযমখান কমার্স কলেজের ভেতরে সন্ত্রাসীদের চাপাতির আঘাতে মো. নওফেল নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। তার একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় বয়রা চেয়ারম্যান ভিটা শশ্মানঘাট এলাকায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সজীব শিকদার (২৯) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি রাতে নগরীর মিস্ত্রিপাড়া রসুলবাগ মসজিদের সামনে শাহীন নামে একজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর কয়েকটি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এদিকে ১৬ জানুয়ারি নগরীর নিরালা মোড়ের আরিফ (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে পালিয়ে যায় তারা। তবে এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ জানায়নি কেউ।

খুলনা নগরীর বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হঠাৎ করে শোনা যায় মারামারি-হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অপরাধীদের দৌরাত্ম বাড়ে। বেশিরভাগ অপরাধীই মাদক ব্যবসায়ী। ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে মারামারি ও খুনের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকেন। সন্ধ্যার পর বাজারে যেতেও ভয় লাগে।

অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, খুলনায় পারস্পরিক হামলা এখন জনমনের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জাগো নিউজকে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়ার কারণ খুঁজে তা দমনে কাজ করছে পুলিশ। সম্প্রতি নূর আজিম, হাড্ডি সাগরসহ একাধিক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিছু কিছু ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায়। তবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে দমনে আমরা সোচ্চার।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমরা কাজ করছি পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের মাঝে পুলিশের আস্থার জায়গা আরও শক্তিশালী করতে সুধী সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মানুষের অভিযোগ সরাসরি শোনা হচ্ছে।

মো.আরিফুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস