দেশজুড়ে

গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকায় মাজেদা বেগম নামের (৪৫) এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি সংলগ্ন বাগানের একটি গাছ থেকে মাজেদা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাজেদা বেগম টুঙ্গিবাড়িয়া এলাকার দিনমজুর কাঞ্চন হাওলাদারের স্ত্রী।

মাজেদা বেগমের স্বজনরা জানান, কয়েক বছর ধরে মাজেদা বেগমের বসতঘরসহ ৮০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী শহিদ হাওলাদার ও তার ভাই মালেক হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বসতভিটা ও জমি ছেড়ে চলে যেতে দিনমজুর কাঞ্চন হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। বসতভিটা থেকে উৎখাত করতে কাঞ্চন হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল শহিদ হাওলাদার ও তার ভাই মালেক হাওলাদার।

একাধিকবার কাঞ্চন হাওলাদার ও মাজেদা বেগমের ঘরে তালাও দেয়া হয়। শহিদ হাওলাদার ও তার ভাই মালেক হাওলাদার ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে আসছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

Advertisement

বুধবার রাতে শহিদ ও মালেকসহ তাদের সহযোগীরা মাজেদা বেগমকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। তাদের কারণে মাজেদা বেগম পালিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বাগানে মাজেদা বেগমের মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

মাজেদা বেগমের ছেলে মানিক হাওলাদার অভিযোগ করেন, রাতে শহিদ ও মালেক হাওলাদারের ভয় আমার মা লুকিয়ে ছিল। সকালে বাগানে একটি গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলছে এমন খবর পেয়ে দেখি আমার মায়ের মরদেহ। তবে তার পা মাটির সঙ্গে লেগে ছিল। যে গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিল সেই গাছে কোনো মানুষ গলায় দড়ি দিলে তা ভেঙে যাওয়ার কথা। মায়ের কোমরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। এসব দেখে যে কেউ বুঝবে আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শহিদ ও মালেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

বন্দর থানা পুলিশের ওসি গোলাম মোস্তফা হায়দার বলেন, দুপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। তারপরও অভিযুক্তদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

সাইফ আমীন/এএম/পিআর

Advertisement