জাতীয়

‘আগে-পরের ব্যাপারটার দায়িত্ব আমি নিতে পারব না’

সদ্য নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, আমার দায়িত্ব হলো আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, আমার যতটুকু দেখার ততটুকু দেখব। আগে-পরের ব্যাপারটার দায়িত্ব তো আমি নিতে পারব না।

Advertisement

তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্ট থাকব, এটা আপনাদের কথা দিতে পারি। সব জায়গায়ই ভালোমন্দ লোক আছে। আমাদের কাজ হলো সৃষ্টির পালন, দুষ্টের দমন। আমাদের আগে নিজে নিজে ঠিক থাকতে হবে। তারপর আরেকজনকে ঠিক করতে পারব। মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা যৌক্তিক বিষয়টা করার চেষ্টা করব। আপ্যায়ন ৩ কোটি না ৫ কোটি তা ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হচ্ছে লজিক্যাল কিনা। বিষয়টা কী তার ওপর নির্ভর করবে। এখন এক লাখ মানুষের নাস্তা ১০ টাকা করে হলেও অনেক টাকা। দেখতে হবে দশ জনে এক লাখ টাকার নাস্তা করেছে কিনা।

তিনি বলেন, একটা নির্বাচন স্থানীয় হোক বা সংসদীয় আসনে হোক শুধু নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। এটা প্রার্থী, স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে। কাউকে চাপ বা ভয়ভীতি দেখানো যাবে না। সবাই যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ভোটারের উপস্থিতি নির্ভর করে প্রার্থীদের ওপর। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু আয়োজন করা দরকার সেটা আমরা শতভাগ করেছি। নির্বাচন কমিশন কোন দলকে উৎসাহ দেয় না বা নিরুৎসাহিত করে না। আমাদের দায়িত্ব হলো রেফারির মতো। মাঠে যারা খেলবেন তারা যেন খেলার মতো করে খেলতে পারেন। কেউ যদি খেলতে গিয়ে কোনো ফাউল করে তাকে হলুদ কার্ড বা লাল কার্ড দেখানো। কেউ যদি মাঠে খেলতে না আসে এটা রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্ব। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা যাবে না।

ইসি সচিব বলেন, বগুড়া-৬ আসনের ১৪১টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইভিএমে ভোট হবে। আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েছি। রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের ট্রেনিং করানো হবে এবং ভোটারদের একটা মক ভোট নেয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনের আগে ওখানে সিইসি আইন-শৃঙ্খলা সভায় থাকবেন।

এইচএস/জেএইচ/এমএস

Advertisement