চালকের দক্ষতায় রক্ষা পেয়েছেন আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা। তবে এ সময় সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ট্রেনের চালক।
Advertisement
শনিবার গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে টঙ্গী থেকে বিকল্প ইঞ্জিন আসার পর ঢাকার উদ্দেশে কয়েক ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ১০টার দিকে গফরগাঁও স্টেশনে পৌঁছে। মূলত এর আগেই ইঞ্জিনের রিজার্ভের প্রেশারের হাওয়া বের হয়ে যায়। এতে করে ইঞ্জিন একেবারেই অচল হয়ে যায়।
ট্রেনটির লোকোমোটিভ মাস্টার (চালক) এনায়েত হোসেন জানান, মূলত ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশন ছেড়ে আসার পর ফাতেমা নগর এলাকায় আসতেই সমস্যার মুখে পড়ে। অনেক কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশনে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। এ সময় ইঞ্জিনের রিজার্ভের হাওয়া বের হয়ে গিয়েছিল। এতে কয়েকশ যাত্রী চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
Advertisement
তিনি জানান, পরবর্তীতে টঙ্গী থেকে বিকল্প ইঞ্জিন আসার পর গফরগাঁও থেকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চালক জানান, ট্রেনটি যদি গফরগাঁও স্টেশনের আগেই মাঝপথে অচল হত তাহলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। তাই ঈদের পর কর্মস্থলে ফেরা মানুষের দুর্ভোগের কথা আঁচ করতে পেরেই নিজের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে গেছি। তবে প্রাথমিক ত্রুটি সারাতে গিয়ে আমার হাতের বিভিন্ন স্থানে গরমে ছিলে গেছে।
এফএ/এমএস
Advertisement