‘বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু প্রথম হয়ে যাব, এমনটা ভাবিনি। এটা অবিশ্বাস্য। বলতে পারেন, আমি ভাগ্যবান।’ কথাগুলো বললেন ৩৪তম সরকারি কর্ম কমিশনের (বিসিএস) মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া এম ওয়ালিদ বিন কাশেম।সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ২ হাজার ১৫৯ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে মেধাতালিকা প্রকাশ করে। ওই মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন ওয়ালিদ।এম ওয়ালিদ বিন কাশেম ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে। তিনিও প্রশাসনের বিসিএস ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। মা জোসনেয়ারা কাশেম গৃহিণী। ওয়ালিদের বড় বোন বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও ছোট বোন ব্যাংক কর্মকর্তা।ওয়ালিদ মতিঝিল সরকারি বয়েজ হাই স্কুল থেকে ২০০৩ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পান। ২০০৫ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৭০ পান। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয়নি। পরে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিনুয়েবল এনার্জি বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন। ওয়ালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়ে যান জাপানে। সার্কের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞদলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন ওয়ালিদ।এবারের প্রথম স্থান অধিকার করা কাশেম এর আগে প্রথমবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি। ৩৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা তিনি জাপান থেকে এসে দিয়ে যান। প্রথম হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ওয়ালিদ বিন কাশেম বলেন, ‘আমি মোটেও মেধাবী নই, অ্যাকটিভ। আমি সব সময় সব বিষয়ে অ্যাকটিভ ছিলাম। ধৈর্য এবং প্র্যাকটিসই আমার সাফল্যের চাবিকাঠি।’এসইউ/পিআর
Advertisement