স্বাস্থ্য

ক্যাডারভুক্তির দাবিতে রাজপথে চিকিৎসকরা

স্বাস্থ্য ক্যাডার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডাররা। নির্ধারিত পদ সৃজন না করায় যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে- এ দাবিতে গত রোববার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে প্রায় আড়াই হাজার নন-ক্যাডার চিকিৎসকের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

Advertisement

‘সবাই শোনে ডাক্তার নেই, আমরা শুনি পদ নেই’, ‘পিতা দিয়েছেন প্রথম শ্রেণির সম্মান, কন্যা দেবেন ক্যাডার সম্মান’, ‘আমরা যোগ্য চিকিৎসক, ক্যাডারভুক্তি করতে হবে’। আন্দোলনকারীরা এমন স্লোগানে ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করে চলেছেন।

মানববন্ধনে নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা বলেন, দেশে চিকিৎসকের সংকট থাকলেও আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি করা হয়নি। পদ সৃজন না করায় লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যাতার পরিচয় দিলেও আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না, আমাদের ক্যাডারভুক্তি করে দেশের যেকোনো স্থানে নিয়োগ দিলে সেখানে গিয়ে আমরা চিকিৎসা সেবা দেব। ক্যাডারভুক্তি না করা হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তারা বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সারাদেশে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সে নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করে। এ পরীক্ষায় আমরা ৩৮ হাজার চিকিৎসক অংগ্রহণ করে আট হাজার ৩৬০ জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করলেও শূন্যপদের সংখ্যা কম হওয়ায় উত্তীর্ণ মাত্র চার হাজার ৫০০ জনকে ক্যাডার করে বাকিদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, দেশে ১০৫টি মেডিকেল কলেজে ২৫ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক প্রয়োজন থাকলেও সেখানে মাত্র ৯ হাজার ৫০৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। ৬৩ শতাংশ শিক্ষক সংকট রেখেই মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা চলছে। যোগ্যদের ক্যাডারভুক্তি করলেও এসব কলেজে শিক্ষক সংকট নিরসন করা সম্ভব হবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী রাফা বিনতে নূর জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যোগ্য হওয়ার পরও ক্যাডারভুক্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পদ সৃজন না থাকায় আমাদের নন-ক্যাডার করা হয়েছে, যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমাদের ক্যাডার থেকে বঞ্চিত করায় রোববার থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে পদযাত্রা করা হবে। সেখানে গিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সকলের গণস্বাক্ষর নেয়া হবে। সেই গণস্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয়া হবে।

আগামীকাল রোববার এ দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

এমএইচএম/বিএ/জেআইএম