অর্থনীতি

দাপট ধরে রেখেছে প্রকৌশল খাত

দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে দাপট ধরে রেখেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। আগের চার সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাত ভিত্তিকে লেনদেনে শীর্ষ স্থানটি দখল করে রেখেছে প্রকৌশল খাত। এ নিয়ে টানা পাঁচ সপ্তাহ লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি প্রকৌশল খাতের দখলে থাকল।

Advertisement

মূলত লেনদেনে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর এমন দাপট অব্যাহত থাকায় মোট লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের গড় লেনদেন চার সপ্তাহ পর ৪০০ কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পেরেছে।

ডিএসইতে সপ্তাহটির প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয় ৩৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। প্রকৌশল খাতের ওপর ভর করে লেনদেন বাড়লেও সপ্তাজুড়েই ডিএসইতে সবকটি মূল্য সূচক কমেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে শীর্ষে থাকা প্রকৌশল খাতে গড়ে প্রতিদিন ৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ওষুধ ও রসায়ন খাতকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করা বস্ত্র খাতের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।

Advertisement

লেনদেন হওয়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে- ব্যাংক খাতে ৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, চামড়া খাতে ৩৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা, বিবিধ খাতে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, বীমা খাতে ১৯ কোটি ৭ লাখ টাকা, সিরামিক খাতে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, খাদ্য খাতে ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১১ কোটি টাকা এবং আর্থিক খাতে ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বাকি খাতগুলোর এককভাবে লেনদেনের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার নিচে। এর মধ্যে- সিমেন্ট খাতে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সেবা ও আবাসন খাতে ২ কোটি ৯ লাখ টাকা, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে ৩ কোটি ৪ লাখ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং পাট খাতে ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

এমএএস/এনডিএস/এমএস

Advertisement