জাতীয়

ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে অবস্থান করছে ‘ফণী’

সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। এর প্রভাবে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। মেঘে ঢেকে আছে আকাশ।

Advertisement

একই সঙ্গে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪৪) জানানো হয়েছে, সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকাল ৯টায় ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি বাংলাদেশের উপর দিয়ে আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কি মি বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অপরদিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Advertisement

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহওয়া বিভাগ।

আরএমএম/জেডএ/জেআইএম