নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দুজনকে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে উপজেলার গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এটিএসআই মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরান। তাদেরকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ওসি আক্তার হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে মাদক সেবন ও ইভটিজিংয়ের অপরাধে উপজেলার রামচচন্দ্রী গ্রামের জামালউদ্দিনের ছেলে দিদার ইসলামকে গোপালদী বাজার থেকে পুলিশ আটক করা হয়। আটকের খবর জানতে পেরে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা দিদারকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্ত কেন্দ্রে ছুটে যান। এই সময় পুলিশ তাকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এটিএসআই মামুন তার প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। সুজয় মোবাইলে তার সহযোগিদের তদন্ত কেন্দ্রে এনে পুলিশের ওপর হমলা চালাতে থাকে।
এ খবর আড়াইহাজার থানা পুলিশের ওসি আক্তার হোসেন জানতে পেরে নিজেই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়া আসেন।
Advertisement
ওসি আরও জানান, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আপন জানান, দিদার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মাদক ও ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্ত কেন্দ্রে গেলে পুলিশ সুজয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
শাহাদাত হোসেন/এমএএস/পিআর
Advertisement