দেশজুড়ে

তর্ক হতে পারে তবে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসপি হারুন অর রশিদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। আগামী ১২ এপ্রিল লাঙ্গলবন্ধ স্নান উৎসব উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত হন তারা।

Advertisement

সভায় এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আপনারা যতই বলেন না কেন বরফ জমা থাকবে না। বরফ জমার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। আমাদের মধ্যে বিতর্ক হবে অনেক বিষয়ে, কিন্তু আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই।

এসপি হারুন অর রশিদকে উদ্দেশ্য করে সেলিম ওসমান বলেন, এমনও হতে পারে এই মুহূর্তে ওনার পাশে বসে কথা বলছি, উনি আমার একজন রাজনৈতিক নেতাকে ধরে নিয়ে যেতে পারেন, বিষয়টি নিয়ে ওনার সঙ্গে আমার ঝগড়া হতে পারে। এটা আমাদের কাজ, জনস্বার্থে আমরা কাজ করব। জনস্বার্থে উনি যদি ভুল করেন তাহলে ওনার সঙ্গে আমার ঝগড়া হবে, কিন্তু পাবলিকের হবে না। একটা পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়, তার মানে এই নয় পরিবারে দ্বন্দ্ব। এটিকে পুঁজি করে নারায়ণগঞ্জকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।

সভায় পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, কোনো এমপির সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই, দ্বন্দ্ব নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এমপি সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি, এমনকি নারায়ণগঞ্জ-১, ২ ও ৩ আসনের এমপির সঙ্গে কোনো বিষয়ে আমার দ্বিমত নেই। কখনো তাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথাও বলিনি আমি। কোনো বিষয়ে তাদের সঙ্গে দ্বিমত হয়েছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, আমরা সেটাই করছি।

Advertisement

এসপি হারুন বলেন, আমরা মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে মিসগাইড হতে পারে। আমাদের ভুল তথ্যও দিতে পারে সোর্সরা। যদি আমরা জেনে যাই এটি ঠিক হচ্ছে না, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেখান থেকে সরে আসার চেষ্টা করি। এরপরও যদি তা না করতে পারি আইন আপনারা তার জামিন নিয়ে চলে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের ভিত্তিতে আমি যদি কাউকে ধরে নিয়ে আসি, কিছু লোক থাকে যাদের কোনো কাজকর্ম নেই, তারা বলে, দেখছেন আপনার লোকটাকে ধরে নিয়ে গেছে। হয়তো তাকে জুয়া খেলায় পেয়েছি, তেল চুরি কিংবা মাদক ব্যবসার জড়িত ছিল। তাই তাকে ধরে নিয়ে এসেছি। এখন সেই লোকটা যদি কারও দলের কর্মী হয়ে যায়, কোনো সমস্যা নেই। তাকে জামিন করিয়ে নিয়ে আসেন। কেউ জানলো না।

পুলিশ সুপার বলেন, আমরা চাই নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে এখানকার মানুষ স্বস্তিতে থাকুক। পুলিশকে কোনোভাবে কেউ হেলানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা রাস্তায় থেকে, আমাদের কাজ করতে চাই। যদি ভুল হয়, ধরিয়ে দেবেন। নারায়ণগঞ্জ নিয়ে কেউ যেন প্রশ্ন তুলতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন, বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার ও যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা প্রমুখ।

Advertisement

মো: শাহাদাত হোসেন/এএম/এমএস