২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে রেমন্ড ডমেনেখের অধীনেই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন জিনেদিন জিদান। সেবার ডমেনেখ-জিদান জুটি ফ্রান্সকে তুলে দিয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে। যদিও শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত ফাইনালে টাইব্রেকারে বিশ্বকাপ জয় করে নেয় ইতালিয়ানরাই।
Advertisement
সেই জিদানই কি না এখন ডাগআউট মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন। গুরু রেমনড ডমেনেখের মতই ময়দানের পরিকল্পনা আঁটেন। শত্রু পক্ষের খুঁত বের করার চেষ্টা করেন এবং নিজের শক্তি দিয়ে প্রবলভাবে আক্রমণ করেন সেই ছিদ্র পথে।
জিদান নিজে কোচ হয়ে গেলেও তার গুরু রেমন্ড ডমেনেখনও এখনও পর্যন্ত কোচিং পেশা ছেড়ে দেননি। তবে এটা বলাই বাহূল্য, ইউরোপে তার কদর অনেকটাই কমে গেছে। যে কারণে, শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করে ইতিমধ্যে আবেদনও করে ফেলেছেন তিনি।
ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের পদের জন্য প্রায় ২০০’র মত আবেদন জমা পড়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অফিসে। যেখানে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে হাই প্রোফাইল হচ্ছেন রেমন্ড ডমেনেখই।
Advertisement
২০০৬ সালে জিদানের দলকে ফাইনালে তুলে দেয়ার কারণে ২০১০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ডমেনেখকেই কোচ হিসেবে রেখে দিয়েছিল ফরাসীরা। তবে সেবার দলের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ে। যার ফলে আনেলকাকে স্কোয়াড থেকে বের করে দেন তিনি। যা নিয়ে তুমুল গন্ডগোল বেধে যায়।
এমন সমস্যার কারণে সেবার বিশ্বকাপে ফ্রান্স গ্রুপ পর্বও টপকাতে পারেনি। এমনকি একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। এবং শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত কোচের তকমা গায়ে লেগে বিদায় নিতে হয়েছিল ডমেনেখকেও।
এরপর আর ডমেনেখকে জাতীয় দলের কোচের পদে দেখা যায়নি। কোনও ক্লাব দল কিংবা অন্য কোনও দেশের ডাগ আউটেও দেখা যায়নি তাকে। গত বছর ক্যামেরুনের কোচের পদে আবেদন করেছিলেন; কিন্তু সেখানে তাকে পছন্দের তালিকায় রাখা হয়নি। ফ্রান্সের অন্তর্গত ব্রিটানি ফুটবল দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডমেনেখ। যদিও সেই দল ফিফার অধীনে নয়, উয়েফাতেও নেই।
দমেনেকের আবেদন পৌঁছনোর পরে ভারতীয় ফুটবল মহলে দারুণ বিস্ময় তৈরি হয়েছে। ২০০ আবেদনকারীর মধ্যে আইএসএলে খেলা টিমের বিদেশি কোচদের প্রায় সবাই প্রায় আবেদন করেছেন। বেঙ্গালুরুর কোচ আলবার্তো রোহা অন্যতম আবেদনকারী। স্টিফেন কন্সস্ট্যান্টাইনের উত্তরসূরী হিসেবে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের পদে কে বসবেন? উত্তর পেতে অপেক্ষায় থাকতে হবে আর কয়েকটা দিন।
Advertisement
তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা সম্ভবত ডমেনেখকেই বেছে নেবেন। কারণ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশেনের এক কর্মকর্তা তেমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, ‘ফিফার প্রথম সত্তর দেশের কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ রকম কোচকে আমার শুরুতেই বেছে নেব। তার অবশ্য উয়েফা লাইন্সেস থাকতে হবে। এরপর তার সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
আইএইচএস/এমকেএইচ