জাতীয়

কমলাপুর রেলস্টেশন ও ত্রিশাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

নানা অনিয়মের অভিযোগে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন - ১০৬) আসা একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলার নেতৃত্বে পুলিশসহ আট সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এ অভিযান চালায়।

Advertisement

টিকিট কালোবাজারির অভিযোগের বিষয়ে দুদক টিম স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলে। টিম তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাউন্টার পরিদর্শন করে এবং সেবার মানোন্নয়নে পরামর্শ দেয়।

দুদক টিম টিকিটপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে নানা সমস্যা লিপিবদ্ধ করে। টিমের উপস্থিতিতে টিকিটপ্রত্যাশীদের বেশকিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়।

স্টেশন ম্যানেজার জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর কালোবাজারি আশাব্যঞ্জক হারে কমেছে। সব ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হলে কালোবাজারি শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisement

এদিকে জামালপুরগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি কতিপয় পুলিশ সদস্য দখল করে টিকিটধারী যাত্রীদের আসন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে- এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখে এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হয়ে তাৎক্ষণিক জিআরপি থানার এসপি (প্রশাসন) শেহেলী পারভীন এ বিষয়ে ট্রেন গার্ডের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম বজলুর রশিদের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। দুদক টিম জানতে পারে, উল্লেখিত দফতরের সাব-রেজিস্ট্রার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে পৌনে চার একর জমি হাতিয়ে নেয়াসহ নানা দুর্নীতির ফলে সৃষ্ট জনরোষের ভিত্তিতে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বদলি করেছে। দুদক টিম জাল দলিলের অভিযোগ-সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র জব্দ করে। এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।

এমইউ/এনডিএস/পিআর

Advertisement