রাজধানীর উত্তরায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য ওয়াটার রিটেনশন পন্ডের (পানি ধারণ এলাকা) ৪০ একর জায়গা ভরাট কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একই সঙ্গে ওই জলাশয় ভরাট করা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, গৃহায়ণ সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
Advertisement
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর।
রিট আবেদনকারীরা জানান, রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের দক্ষিণ পাশে দ্বিগুণ, বাউনিয়া ও বড়কাকর মৌজায় অবস্থিত মাস্টারপ্ল্যানে চিহ্নিত ৬১৫ দশমিক ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করে এবং তা পানি ধারণ এলাকা হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য (ওয়াটার রিটেনশন পণ্ড) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করে। তবে, ২০১৪ সালে মুখ্য সচিবের নেতৃত্ব একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ওই জমি থেকে ৪০ একর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) পাঁচটি সংগঠন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই রিট করে। রিট আবেদনকারী অপর চারটি সংগঠন হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও নিজেরা করি।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে অন্তর্বর্তীকালীন ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
এফএইচ/এমএমজেড/আরআইপি