নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ নর্থল্যান্ডের কাইতাইয়া এলাকায় একটি বন্দুক ক্লাব আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় পুরো দেশ যখন শোকে ভাসছে; তার মাঝেই মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৪ টার দিকে ওই ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
দেশটির পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার সময় পুলিশের জরুরি সার্ভিসের নাম্বারে একটি টেলিফোন কল আসে। নর্থল্যান্ডের ওকাহু ডাউনস ড্রাইভের কাছের কাইতাইয়া বন্দুক ক্লাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গান ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। তবে আগুনের এই ঘটনাকে সন্দেহজনক হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : শুক্রবারের আজান সম্প্রচার করবে নিউজিল্যান্ডের রেডিও ও টেলিভিশন
এর আগে সোমবার অস্ত্র আইন পরিবর্তনে সায় দেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন দেশটিতে আধা স্বয়ংক্রিয় ও সামরিক ধাঁচের সব ধরনের আগ্নেয়ান্ত্র নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর অনেকেই স্বেচ্ছায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ফেরত দিচ্ছেন।
Advertisement
তবে মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। নিউজিল্যান্ডের ফায়ার অ্যান্ড এমারজেন্সি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক পল রাডেন বলেন, টেলিফোনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর ওই গান ক্লাবে দু'জন ক্রুকে পাঠানো হয়েছিল।
পাঁচ মিটার দৈর্ঘ্য ও পাঁচ মিটার প্রস্থের টিনের তৈরি ওই গান ক্লাব আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ভোর পাঁচটার দিকে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আগুনের কারণ জানতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্ব নেতাদের আদর্শ
এর আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নর্থল্যান্ডের এই বন্দুক ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সময় আগুনে ক্লাবরুম পুড়ে যায়।
Advertisement
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চ শহরে দু’টি মসজিদে অস্ট্রেলীয় উগ্র-ডানপন্থী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের হামলায় ৫০ জন নিহত এবং আরও ২৯ জন আহত হয়। হামলার ছয়দিন পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন দেশটিতে সব ধরনের সামরিক ধাঁচের আধা-স্বয়ংক্রিয় (এমএসএসএ) অস্ত্র এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র : স্টাফ.নিউজিল্যান্ড।
এসআইএস/এমকেএইচ