দেশজুড়ে

‘হারাতে চাই না আর কোনো ভাই, নিরাপদ সড়ক চাই’

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সিএনজির চাপায় স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ করে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও ও সমাবেশ করেছে নিহতের সহপাঠীরা।

Advertisement

মঙ্গলবার দেওয়ানগঞ্জের রাজিবপুর সড়কের বাহাদুরাবাদ পোল্লাকান্দি ব্রিজ সড়কে সিএনজির চাপায় নিহত হয় চুকাইবাড়ি বীর হলকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ওয়াজ কুরুনী (১৪)। নিহত ওয়াজ কুরুনী স্থানীয় পশুচিকিৎসক আ. সামাদের ছেলে।

ওয়াজ কুরুনী নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুধবার দুপুরে আজিজা রোজবার্ড কলেজিয়েট স্কুলের পাঁচ শতাধিক ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী নিরাপদ সড়কের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ করে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ‘হারাতে চাই না আর কোন ভাই, নিরাপদ সড়ক চাই’ স্লোগান দিয়ে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এরপর সমাবেশ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেয়- নিহতের সহপাঠী দশম শ্রেণির ছাত্র লিয়ন, লাজিব ও অভিভাবক সেলিনা আক্তার প্রমুখ। শোকাহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমির হোসেন মুরাদ।

Advertisement

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দিয়ে সড়কে দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে স্কুলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।

পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা আট দফা দাবি ঘোষণা করেন। বুধবার সকাল থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান। বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক শেষে ২৮ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এএম/এমএস

Advertisement