ক্যাম্পাস

অক্সফোর্ডে গবেষণায় হাবিপ্রবির রাশেদ জামান

সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ নিয়ে গবেষণা করে স্বপ্ন পূরণের পথে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদ জামান। চলতি বছর এপ্রিল থেকে খণ্ডকালীন গবেষক হিসেবে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত জ্যথাম উডস-এর জিওল্যাবে কাজ করবেন তিনি।

Advertisement

বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এগ্রিকালচার ও ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় এক নম্বরে থাকা নেদারল্যান্ডসের ওয়েজনাইজেন ইউনিভার্সিটি ও রিসার্স-এ সুন্দরবনে কার্বন নিঃসরণ বিষয়ে গবেষণা করছেন রাশেদ। বাংলাদেশের বন গবেষণা ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণার জন্য ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ওয়েজনাইজেন ইউনিভার্সিটি এবং এবিএফ ফেলোশিপ এর যৌথ অর্থায়নে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে এমএসসি প্রগ্রামে নেদারল্যান্ডস যান তিনি।

কৃষি ও বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, চীনসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন রাশেদ।

তিনি জানালেন, চলতি বছর এপ্রিল থেকে খণ্ডকালীন গবেষক হিসেবে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত জ্যথাম উডস-এর জিওল্যাবে কাজ করবেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেখানেই পিএইচডি করবেন।

Advertisement

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) থেকে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) এবং কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন রাশেদ জামান। তিনি ঠাকুরগাও গড়েয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি এবং পার্বতীপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৬ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা রাশেদের বাবা মো. আবু সাইদ মাহমুদ পেশায় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। মা রোকেয়া বেগম গৃহিণী।

ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় রাশেদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বিদেশে গবেষণার পাঠ শেষ করে দেশে ফিরে আসতে চান সব সময় মানুষের সাথে মিশে থাকা এই মেধাবী ছাত্রনেতা।

প্রবল জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশ নিয়ে তার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এসব নিয়েই ভবিষ্যতে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন রাশেদ জামান। তিনিই হাবিপ্রবির প্রথম ছাত্র যিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত জ্যথাম উডস-এর জিওল্যাবে কাজ করতে যাচ্ছেন।

Advertisement

এএসএস/এমবিআর/এমকেএইচ