আন্তর্জাতিক

জামায়াতকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভ

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার জেরে কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সশস্ত্র বিদ্রোহ সমর্থনের অভিযোগে আগামী পাঁচ বছরের জন্য গত বৃহস্পতিবার দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জামায়াতের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে পাকিস্তানের লাহোরে বিক্ষোভ করেছে দলটির কয়েকশত সমর্থক।

Advertisement

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী শহর লাহোরে দলটির কয়েকশত সমর্থক ভারতের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে নিষেদ্ধের কথা জানায় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জামায়াতে ইসলামীকে বেআইনি সংগঠন ও তাদের কর্মকাণ্ডকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।

ভারতের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লাহোর যে বিক্ষোভটি হয় তার নেতৃত্ব দেয় পাকিস্তানের নিবন্ধিত ও সংগঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান। লাহোরের রাস্তায় নেমে দলীয় পতাকা হাতে দলটির সমর্থকরা ‘কাশ্মীর একদিন পাকিস্তানের হবে’ বলে স্লোগান দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানের শান্তির নিদর্শনে কফিনবন্দি মরদেহ পাঠাল ভারত

জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ নেতা লিয়াকত বেলুচ বলেন, ‘ভারত যুদ্ধের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তাদের ব্যর্থতা আজ বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত। তারা কাশ্মীরিদের মেরে ফেলছে। লাইন অব কন্ট্রোলে তারা নিয়মিত গুলি ছুড়ছে। কাশ্মীরে এখন তারা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অবশ্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তান ভিত্তিক এই দলটি জম্মু-কাশ্মীরসহ বিভিন্ন স্থানের জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে। জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম বন্ধ না হলে, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমগুলোকে তারা আরও বাড়িয়ে তুলবে।’

এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেছেন, ‘এমন সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হতে পারে কেন্দ্রকে। প্রতিশোধ নিতে কাশ্মীর উপত্যকায় যেকোনো রকম ঘটনা ঘটাতে পারে জামায়াতে ইসলামী।’

Advertisement

এসএ/পিআর