বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে হকার উচ্ছেদ নিষ্ঠুরতা, মানবতার পরিপন্থী। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে এ উচ্ছেদ গরিবের পেটে লাথি মারার শামিল।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাপের ঢাকা মহানগর শাখা এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে লুটেরা শক্তি, অন্যদিকে মেহনতি মানুষ। সরকার লুটেরা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে বলেই মেহনতি মানুষের পেটে লাথি পড়ছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে হকার উচ্ছেদ বন্ধ করে যারা আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল রাখে, গুদাম করে রাখে তাদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেন। গরিবের পেটে লাথি না মেরে যারা দুর্নীতিবাজ, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১০ লাখ হকার আছে। পরিবার-পরিজনসহ তাদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় এক কোটি মানুষ। ফুটপাত থেকে তাদের উচ্ছেদ করলে এই এক কোটি লোক বিপদে পড়বে।
গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে হকারদের জন্য আইন করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, ফুটপাতের এক-তৃতীয়াংশ হকাররা ব্যবহার করতে পারবে। দিল্লিতে, কলকাতায় যদি এই আইন থাকে বাংলাদেশে থাকতে সমস্যা কোথায়?
তিনি বলেন, সরকার যদি ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের খরচ বহন করতে পারে, তাহলে হকারদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে পারে। হকার উচ্ছেদের পূর্বে তাদের জীবন-জীবিকার বিষয়ে ভাবুন। তাদের দুঃখ বোঝার চেষ্টা করুন। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে এরপর তাদের উচ্ছেদ করুন। কেউ কোনো প্রতিবাদ করবে না।
ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, মেহেদী হাসান হাওলাদার, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, সাবেক ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/আরএস/জেআইএম