বিনোদন

ভিডিও সরানোর শর্তে সালমানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ভিডিও সরানোর শর্তে সালমান মুক্তাদিরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

Advertisement

এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, সে ভিডিও রিমুভ সংক্রান্তে কমিটমেন্ট দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে কাউন্সেলিং ও নিরাপদ ইন্টারনেট সংক্রান্তে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো মনিটর করা হচ্ছে। কমিটমেন্ট রক্ষা না করলে পরবর্তীতে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশের সমালোচিত ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন >> পুলিশি হেফাজতে সালমান মুক্তাদিরপ্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সালমান মুক্তাদির তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘অভদ্র প্রেম’ টাইটেলে একটি গানের ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওটি অশ্লীলতার দায়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সালমান মুক্তাদির। এরপর তার ইউটিউব চ্যানেল এর সাবস্ক্রাইবার কমতে থাকে।

Advertisement

অনেকে নিজেই সালমান মুক্তাদিরের চ্যানেল আনসাবস্ক্রাইব করেছেন, অন্যকে আনসাবস্ক্রাইব করতে উৎসাহ দিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহেই ইউটিউবের প্রায় দেড় লাখ ফলোয়ার হারিয়েছেন সালমান।

আরও পড়ুন >> ‘আটক হইনি’, স্ট্যাটাস দিয়ে মুছে ফেললেন সালমান মুক্তাদিরএর আগে ইন্টারনেটে অপেশাদার এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী সানাই মাহবুব সুপ্রভাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিট। সেখানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি দিয়ে লাইভে এসে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান সানাই। এ সময় তাকে বোরকাপরা অবস্থায় দেখা যায়। মুখে ছিল লজ্জামাখা হাসি।

টিকটক ও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে খোলামেলা এবং অসামাজিক কথাবার্তা বলে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন সানাই। তার পোস্ট ও বার্তাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত।

আরও পড়ুন >> সরানো হলো সালমান মুক্তাদিরের অশ্লীল ভিডিও, যা বললেন সালমানতাকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়। সরকার যুবসমাজকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে দেড় হাজার পর্নো ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে সানাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।

Advertisement

সরকারের এই অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশের সব সাইবার ইউনিট, র‍্যাব, বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ-টু-আই একযোগে কাজ করছে।

এআর/বিএ