তিন মাস আগে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক নারী। হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার পর বাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর থেকেই পেটের মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন। পরে এক্স-রে করে ধরা পড়ে পেটে একটা কাঁচি রয়ে গেছে। আর এ কারণেই যন্ত্রণা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদ শহরে।
Advertisement
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হায়দরাবাদের বিখ্যাত নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এনআইএমএস) ৩৩ বছর বয়সী এই নারী তিন মাস আগে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে বাড়িতে ফেরার পর থেকেই তিনি পেটের মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফের তাকে ওই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় এবং এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্ট দেখেই চমকে ওঠেন তার আত্মীয়-স্বজন এবং চিকিৎসকরা।
ওই রিপোর্টেই দেখা যায়, ওই নারীর পেটের মধ্যে রয়েছে একটি ডাক্তারি কাঁচি। চিকিৎসক ভুল করে পেটের মধ্যে অস্ত্রোপচারের ছুরি-কাঁচি রেখেই সেলাই করে দিয়েছিলেন। অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালেই ফের অস্ত্রোপচার করে ওই যন্ত্রটি বের করা হয়।
এনআইএমএসের পরিচালক কে মনোহর এনডিটিভিকে বলেন, ‘রোগী আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা রোগীর স্বাস্থ্য সমস্যা মিটিয়ে দিতে ওই উপকরণটি বের করে দিচ্ছি।’
Advertisement
পূর্বের অস্ত্রোপচারটি করেছিলেন সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের একজন শল্য চিকিৎসক। হাসপাতালের তরফে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে জানানো হয়েছে, ওই নারীর স্বামী দু’জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এসআর/এমকেএইচ
Advertisement