অর্থনীতি

রিজার্ভ চুরির মামলা চলতি সপ্তাহে

চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে চলতি সপ্তাহেই মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পর্ষদ সভায় চলতি (২০১৮-১৯) অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতির ধরন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে গভর্নর ফজলে করিব। পর্ষদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে মামলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। মামলার বিভিন্ন বিষয় পর্ষদে অবহিত করা হয়। এ সময় পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সায় দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, মামলার রূপরেখা চূড়ান্ত। আমাদের একটি টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। গিয়েই মামলা করবে। নানা দিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যেতে হয়েছে। টাকা উদ্ধারে সব সময় সামনে। তাই কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা হয়নি। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেবরুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। শ্রীলঙ্কা থেকে ইতিমধ্যে চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে। আর ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ ডলার দেশটির কোর্টের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার অনাদায়ী রয়েছে, যা আরসিবিসির কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনায় তিন বছরের মধ্যে মামলা না করলে তার গুরুত্ব কমে যায়। ফলে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

এসআই/এএইচ/পিআর

Advertisement