বিনোদন

শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল 

বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় কিংবদন্তি এই নির্মাতার মরদেহ। তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে তার প্রিয়জন ও চলচ্চিত্রের মানুষরা। সিনেমার মানুষ ছাড়াও সাধারণ মানুষেরও ঢল নেমেছে শহীদ মিনারে। 

Advertisement

 শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষ হলে এটিএন বাংলায় নিয়ে আসা হবে। এরপর বাদ জোহর তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।  এফডিসিতে জানাজা শেষে, চ্যানেল আইতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর জামালপুর নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে গুণী এই নির্মাতার মরদেহ। আমজাদ হোসেনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।

গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়া হয়েছিল তাকে।

প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচের কারণে মরদেহ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আমজাদ হোসেনের পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমজাদ হোসেনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান।

Advertisement

১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন।পরবর্তী সময়ে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।১৯৬৭ সালে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘নয়নমনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’ নির্মাণ করে প্রশংসা কুড়ান। টেলিভিশন নাটক, গান, কথাসাহিত্যেও আমজাদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

এমএবি/এমকেএইচ