রাজনীতি

ইসিতে অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে বিএনপি নেতা আটক

ঢাকা-১৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালাম নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে তার সঙ্গে থাকা এক নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

আটককৃত ব্যক্তি মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সভাপতি ওসমান গণি শাজাহান। তবে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা এমন কোনো ব্যক্তিকে আটক করেননি। নিজ নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড়, অপতৎপরতাসহ বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে দুপুরে নির্বাচন কমিশনে যান আব্দুস সালাম। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দুপুর দেড়টার দিকে ইসি থেকে বেরিয়ে গুলশানে ফেরার পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে আইডিবি ভবনের সামনে থেকে ওসমান গণিকে আটক করা হয়। এমন ঘটনার পর আব্দুস সালাম আবার ইসি সচিবের কাছে আটকের বিষয়ে অভিযোগ জানান।

আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক। নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে নির্বাচন হবে? অভিযোগ জানিয়ে যাবার কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ভবনের কয়েকশ গজের মধ্যে বিএনপি নেতাকে আটকের ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি ইসি সচিবকে জানিয়েছি আপনাদের কাছে অভিযোগ দেয়ার কিছুক্ষণ পরই কীভাবে আমার একজন কর্মী আটক হয়? এটা কী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপতৎপরতা আরেকটা জ্বলন্ত প্রমাণ নয়? তার মানে কী, আমরা নির্বাচন কমিশনেও নিরাপদ না? আমরা কোথায় যাবো, আমরা কী নির্বাচন করব না?

Advertisement

আব্দুস সালাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি অপরাগ হয় তাহলে নির্বাচন না করতে আমাদের বলে দিক, কমিশন কারও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। কমিশন তাহলে আমাদের নেতাকর্মীদের মানা করে দিক।’

এমন অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব আব্দুস সালামকে জানিয়েছেন, ‘সিইসির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দেখবো’।

ঢাকা-১৩ আসনের এই প্রার্থী জানান, আটক ওসমান গণির বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। সব মামলায় জামিন থাকা স্বত্তেও এভাবে আটক করে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন করা অসাধ্য। ধরপাকড়ের ভয়ে কর্মীদের নিয়ে ঠিকমত মাঠেই নামতে পারছি না। এসব ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন বিএনপির এই প্রার্থী।

এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

Advertisement