ভারতের লাদাখ, সিকিম ও অরুণাচলের মতো সুরক্ষিত এলাকায় অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশিরা ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
Advertisement
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কূটনৈতিক সাংবাদিকদের একটি দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ বেড়েছে। আগে ভারতীয় ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের ভোগান্তির শিকার হতে হতো। তবে এখন সেই ভোগান্তি সম্পূর্ণ দূর করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে প্রায় ১৪ লাখের মতো বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন। আর ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ১৪ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন ভিসা কর্মকর্তারা। বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশেরই প্রায় ১৩ লাখ মানুষ গত বছর যাতায়াত করেছেন।
Advertisement
ভারতের হাইকমিশনার গত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ উপাঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, ভারতের নীতি হচ্ছে প্রতিবেশী সবার আগে। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে। গত বছর ভারতে বাংলাদেশের রফতানি ১৪২ শতাংশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর এর মধ্যে বড় অংশের তৈরি পোশাকও রয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক একইভাবে ভারতেও বাংলাদেশি বিনিয়োগ আশা করেন তিনি।
শ্রিংলা বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। আসন্ন দিনগুলোতে ৮ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারত বিশ্বাস করে আমাদের যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি, তবে বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক অর্জন হবে।
জেপি/বিএ
Advertisement