আন্তর্জাতিক

খাশোগি নিখোঁজের তদন্তে তুরস্কে সৌদি দল

সৌদি বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে তুরস্কে পৌঁছেছে সৌদির একটি দল। দু'দেশের একটি যৌথ তদন্তের অংশ হিসেবে তারা তুরস্কে গেছেন বলে তিনটি তুর্কি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Advertisement

সৌদির একটি সূত্র বলছে, প্রিন্স খালেদ আল ফয়সাল বৃহস্পতিবার তুরস্কে সফর করেছেন। খাশোগি নিখোঁজের বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে আলোচনার পরে তুরস্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রিয়াদের উদ্যোগে দেশ দু'টি এই বিষয়ে যৌথভাবে তদন্ত করতে রাজি হয়েছে।

সৌদির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসপিএর এক প্রতিবেদনে এক সৌদি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তাদের অনুরোধে একটি টিম গঠনের বিষয়ে তুরস্কের অনুমোদনকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওহিও অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তিনি এখনও সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে বাদশাহর সঙ্গে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

Advertisement

ট্রাম্প বলেন, এটা সত্যিই খুব গুরুতর একটি ঘটনা। আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গেই এই বিষয়টিকে দেখছি। গত ২ অক্টোবর জামাল খাশোগি ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করে আর বের হননি। তুর্কি নিরাপত্তা সূত্রগুলো এরইমধ্যে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, খাশোগিকে কনস্যুলেটের মধ্যে হত্যা করে তার লাশ টুকরা টুকরা করে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সৌদি আরব অবশ্য দাবি করছে, খাশোগি তার কাজ শেষ করে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই ভবনের বাইরে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজে খাশোগিকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেলেও তাকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।

সৌদি রাজতন্ত্রের ঘোর বিরোধিতাকারী খাশোগি ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকায় স্বেচ্ছা-নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

শুক্রবার এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয় যে, সৌদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সৌদ বিন নাইফ তুরস্কের মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন। সৌদির বিরুদ্ধে খাশোগিকে হত্যার খবর মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে তিনি তুরস্কের সঙ্গে যৌথ তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

Advertisement

সৌদির প্রতিনিধি দলটি এখন ইস্তাম্বুলে অবস্থান করছে। তারা তুরস্কের তদন্তকারীদের সঙ্গে যৌথভাবে খাশোগি নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত করবে।

টিটিএন/এমএস