ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২৯ জেলায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।
Advertisement
সম্প্রতি এ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূতে চাল বরাদ্দ দিয়ে আদেশ জারি করবে।
২৯টি জেলার ১১২টি উপজেলায় জেলেদের এ সহায়তার জন্য সাত হাজার ৯১৪ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ইলিশ রক্ষায় প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবরে পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
Advertisement
চিঠিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দ এ ভিজিএফ চাল মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক স্থানীয়, দুঃস্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে যথানিয়মে বণ্টন করবেন ও হিসাব সংরক্ষণ করবেন। জেলা প্রশাসককে এ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করতে হবে।
ইলিশ আহরণে বিরত থাকার সময় চাঁদপুরের ৩৬ হাজার ৫৭৫ জন, লহ্মীপুরের ৩৭ হাজার ৩২৬ জন, ফেনীর ৫০০ জন, নোয়াখালীর আট হাজার ৫২৪ জন, কক্সবাজারের ১০ হাজার ৫০০, চট্টগ্রামের ১৭ হাজার ৫০০, ভোলার ৮৮ হাজার ১১১ জন জেলেকে চাল দেয়া হবে।
পটুয়াখালীর ৪৫ হাজার ৬৪২ জন, বরিশালের ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন, বরগুনার ৩৪ হাজার ২১১ জন, পিরোজপুরের ১৪ হাজার ৮৭৫ জন, ঝালকাঠির এক হাজার ৪৬০ জন, শরীয়তপুরের ১৬ হাজার ৩৫৫ জন এবং জামালপুরের ৫ হাজার জেলে ২০ কেজি করে চাল পাবেন।
এ ছাড়া নরসিংদীর ৫০০ জন, মানিকগঞ্জের ৭ হাজার ৭৭৯ জন, মাদারীপুরের এক হাজার ৫০০, ঢাকার ৮৫০, সিরাজগঞ্জের এক হাজার ৫০০, রাজশাহীর এক হাজার ৮০০, নাটোরের ৫০০, পাবনার এক হাজার ২৫০, বাগেরহাটের ৫ হাজার ১৯৪, খুলনার ২ হাজার ১০০, কুষ্টিয়ার এক হাজার ২৬৬, কিশোরগঞ্জের ৬৯৯, রাজবাড়ীর ৪ হাজার ৬৪০, ফরিদপুরের ২ হাজার ২৩৭ ও মুন্সিগঞ্জের ৩ হাজার ৬৭১ জন জেলের পরিবার চাল সহায়তা পাবেন।
Advertisement
আরএমএম/এনডিএস/এমএস