নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ৯ হাজার ৪৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, ইনক্রিমেন্টসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়াগুলো বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছি। আমরা দেনেয়ালা নয়; বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Advertisement
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরকার সমর্থিত এমপিওভুক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৯টি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন এমপিওভুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব আবেদন জমা পড়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে কত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে তা জানতে চাইলে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী যে সকল বেতন-ভাতা ও প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুবিধা পাচ্ছেন, তা বেসরকারি পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের শুধুমাত্র প্রেষণে অবসর ও কল্যাণ বোর্ডে পাঠানো হয়। এই ক্ষেত্রে শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেসরকারি শিক্ষকদেরকেও যেন সরকারি শিক্ষকদের মতো দায়িত্ব পালনে নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ওপর পাঁচ শতাংশ বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখী ভাতা, ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতাসহ বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো বাড়ানো হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে। মন্ত্রী এ বিষয়ে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বিধিমালা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবি জানানো হলে মন্ত্রী তা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেছেন বলে তিনি জানান।
বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল, নাজমুল হক খানসহ বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন স্তরের ৩৯টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এসআর/পিআর
Advertisement