ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দমন করার জন্য নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক স্বাধীনতা কিংবা মিডিয়ার স্বাধীনতা কোনটাই স্পর্শ করবে না। অপরাধ বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই আইনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এই আইনটি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কেবল বিশ্বে প্রথম ডিজিটাল দেশের প্রবর্তকই নয় প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নকারী দেশ হিসেবে পথপ্রদর্শক।
Advertisement
শনিবার চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। গত পৌনে দশ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে আট কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে সাড়ে ১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হতো মাত্র ৭ দশমিক ৫০ জিবিপিএস। বর্তমানে ব্যান্ড উইথ ব্যবহৃত হচ্ছে ৭৫০ জিবিপিএস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় এক অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শক্তিশালী মিডিয়া হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় বাছাই কমিটিতে আইনের খসড়াটি যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত হয়েছে। আইনটি জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে প্রণীত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আইনটি পাস হলে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাটিও বিলোপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশ্বাসী নয়। প্রযুক্তি দিয়েই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মাধ্যমে অপরাধ মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক সচেতনতা, আইনগত কাঠামো তৈরির পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি‘র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে ফেসবুক, ভাইবারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সকল বয়সী মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী। এই যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় নর্থ সাউথ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। মন্ত্রী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন।
Advertisement
এমএ/জেএইচ/জেআইএম