খেলাধুলা

ফুটবলে বেতনভুক্ত ম্যানেজারের দাবি

নেপালের বিরুদ্ধে গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের হাস্যকর গোল খাওয়ার পরই তাকে দলে নেয়ার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল গ্যালারি। দর্শক-সমর্থকদের মুখে-মুখে আর ফেসবুকের পাতায় তখন থেকেই শুরু গোলরক্ষক সোহেলকে ধুয়ে দেয়া। ২৪ ঘণ্টা পরও সমালোচনা থামেনি।

Advertisement

রোববার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারত-মালদ্বীপের ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের মধ্যেও বেশি আলোচনা ছিল আগের সন্ধ্যায় গোলরক্ষক সোহেলের খাওয়া গোল। অতীতেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ হাস্যকর গোল খেয়ে দেশকে হারিয়েছেন এই শহিদুল আলম সোহেল। এবার সমালোচনাটা আগের চেয়ে অনেক বেশি।

কেন? কারণটা পরিস্কার। শহিদুল আলম সোহেল ছিলেন না জেমি ডে’র প্রস্তুতি ক্যাম্পে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে ফুটবল দলকে কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে সোহেলকে বিবেচনায় নেননি কোচ। অথচ সেই সোহেল ক্যাম্পের বাইরে থেকেও এক লাফে চলে আসলেন জাতীয় দলে। শুধু তাই নয়, পুরোপুরি একাদশে।

গত ২৯ আগস্ট নীলফামারীতে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে সোহেলকে রেখে একাদশ গড়েছিলেন কোচ। হাস্যকর গোল হজম করে দেশকে ডোবালেন তিনি। এশিয়ান গেমসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা আশরাফুল ইসলাম রানাকে বাদ দিয়ে একাদশে কেন সোহেল? এমন তীর্যক প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল কোচকে। তিনি সোহেলের সাফাই গাইলেন। বললেন- উচ্চতায় লম্বা দেখেই সোহেলকে পছন্দ তার। সেই সোহেল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও ডোবালেন দেশকে।

Advertisement

সোহেলের এই ব্যর্থতার সঙ্গে দর্শক সমর্থকরা জড়িয়ে দিচ্ছেন দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর নামও। সোহেল আবাহনীর খেলোয়াড়, ম্যানেজারও আবাহনীর। এ কারণেই কী ক্যাম্পের বাইরে থাকা একজন খেলোয়াড়কে সরাসরি ঢুকিয়ে দেয়া হলো জাতীয় দলে? এ প্রশ্ন এখন ডাল-পালা ছড়াচ্ছে ফুটবল অঙ্গনে।

ক্লাব কর্মকর্তারা ম্যানেজারের পদ নিয়ে স্বজনপ্রীতি করেন- বাংলাদেশের ফুটবলে এটা নতুন অভিযোগ নয়। এখন সত্যজিৎ দাস রুপুর বিরুদ্ধে দর্শকরা সে অভিযোগ এনেছেন, অতীতে এনেছেন অন্যদের বিরুদ্ধেও। তারপরও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টনক নড়ছে না। ক্লাব কর্মকর্তাদের হাতেই জাতীয় দলকে তুলে দিচ্ছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবলামোদীদের অভিযোগ, গোলরক্ষক সোহেল জাতীয় দলে সরাসরি ঢুকেছেন আবাহনীর খেলোয়াড় হওয়ার কারণেই। সেখানে ম্যানেজারের প্রভাব থাকতে পারে বলেই ধারণা সবার। জাতীয় দলকে স্বজনপ্রীতিমূক্ত করতে বেতনভূক্ত নিরপেক্ষ ম্যানেজার নিয়োগের দাবিও করেছেন অনেকে।

এক সময় বাফুফে ক্লাব কর্মকর্তাদের বাইরে জাতীয় দলের ম্যানেজার নিয়োগ শুরু করেছিল; কিন্তু বেশিদিন পারেনি। কারণ, বাফুফের যে কমিটি জাতীয় দল দেখাশুনা করে সেই ‘ন্যাশনাল টিমস কমিটি’ও ক্লাবের প্রভাবমূক্ত নয়। এ কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদও আবাহনীর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা।

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি