২০০৯ সালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার আগে নিজের ক্যারিয়ারের স্বর্ণসময়ের সূচনাটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই করেছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। চলতি মৌসুমের আগে তার রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছিলো আবারো ম্যান ইউতেই ফিরবেন ৩৩ বছর বয়সী এ তারকা।
Advertisement
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে নাম লিখিয়েছেন। তাহলে কেনোই শোনা গেল ম্যান ইউতে যাওয়ার গুঞ্জন, কেনই বা ম্যান ইউতে না গিয়ে জুভেন্টাসে চলে গেলেন রোনালদো? অজানাই এসব প্রশ্নের উত্তর।
তবে ইংলিশ গণমাধ্যমের দাবী বা অভিযোগ যে ম্যান ইউ বস হোসে মরিনহোর আপত্তির কারণেই রোনালদোকে ইংল্যান্ডে আনা হয়নি। নাহলে পুনরায় নিজের প্রাক্তন ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দেখা যেত রোনালদোকে। মরিনহোই ম্যান ইউ ম্যানেজম্যান্টকে মানা করে দিয়েছিলেন যাতে রোনালদোকে না কেনা হয়।
ইংলিশ গণমাধ্যমের দাবী এ পরামর্শ জানিয়ে মরিনহো ম্যান ইউ কর্তৃপক্ষকে বলেছিল, ৩৩ বছর বয়সী একজন খেলোয়াড়ের জন্য রিয়াল মাদ্রিদকে ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে দেয়াটা অনর্থক। শুধু তাই নয় এর সাথে আবার সপ্তাহপ্রতি ৫ লক্ষ পাউন্ড স্যালারিও দিতে হবে।
Advertisement
আর্থিক দিক বিবেচনা করে রোনালদোকে কিনতে বারণ করা মরিনহো ম্যান ইউকে বলেছিল টবি অ্যাইডারউল্ড, হ্যারি মাগুইরে বা ডিয়েগো গোডিনকে দলে নিতে। কিন্তু দলবদলের সময় পেরিয়ে গেলেও তিনজনের কাউকেই দলে আনতে পারেনি ম্যান ইউয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
যার ফলে মরিনহোর প্রতি ক্ষেপেছে ম্যান ইউয়ের সমর্থকরা। মৌসুমের শুরুতেই রব উঠেছে স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ এর বিদায়ের। অবশ্য উঠবেই না কেন, ইপিএলের প্রথম তিন ম্যাচের ২টিতেই যে হেরে বসেছে মরিনহোর ইউনাইটেড।
এসএএস/এমএস
Advertisement