আগামী বুধবার (২২ আগস্ট) পবিত্র ঈদুল আজহা। এদিন দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। তবে পশু জবাই করলেও অনেকেই এর চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণের সঠিক উপায় জানেন না।
Advertisement
চামড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রফতানিপণ্য। উৎকৃষ্ট মানের চামড়া প্রাপ্তির জন্য পশু জবাইয়ের সময় নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে যেমন চামড়ার ভালো মূল্য পাওয়া যাবে তেমনি দেশও অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো, সংরক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ক্ষেত্রে করণীয়সমূহ১. পশু জবাইয়ের পূর্বে পশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিতে হবে।২. পশু জবাইয়ের পূর্বে পশুকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।৩. জবাইয়ের ১২ ঘণ্টা পূর্ব হতে পশুকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখা উত্তম।৪. পশু জবাইয়ের পূর্বে পশুকে ভালোভাবে গোসল করাতে হবে।৫. পশু জবাইয়ের পূর্বে জবাই স্থান ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।৬. জবাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হবে এবং উপযুক্ত গর্ত তৈরি করে নিতে হবে।৭. জবাইয়ের পর পশুর সমুদয় রক্ত নির্গমণের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।৮. রক্তভর্তি গর্তটি মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।৯. চামড়া ছাড়ানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে চামড়ার সঙ্গে মাংস ও চর্বি না থাকে, চামড়ার কোনো স্থান কেটে না যায় এবং তাতে কোনো ময়লা না লাগে।১০. জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়ানোর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে চামড়া সংরক্ষণের জন্য চামড়ায় লবণ লাগাতে হবে। জবাই ও মাংস কাটা শেষে সকল প্রকার বর্জ্য ভালোভাবে অপসারণ করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।১১. কাঁচা চামড়ার পচনরোধে চামড়ার ভেতরের দিকটি উপরের দিকে দিয়ে টান টান করে বিছিয়ে দিতে হবে। অতঃপর পর্যাপ্ত লবণ ছিটিয়ে চামড়ার পানি শুষে নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চামড়া বিক্রির পূর্বে এ কাজটি বারবার করা যেতে পারে।
Advertisement
এফএইচএস/বিএ/জেআইএম