আজান হলেই পবিত্র কাবা ঘরে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীরা ভিন্নরূপে আবির্ভূত হয়। এ সময়ে দায়িত্ব পালনে তারা একাধারে কঠোর হয়ে ওঠেন। প্রয়োজনে মানবিকও বটে। কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশের প্রতিটি পয়েন্টে তারা ব্যারিকেড বসিয়ে ভেতরে মুসল্লিদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
Advertisement
তারা কোনোভাবেই ‘অপ্রীতিকর’ বিষয়ে ছাড় দেন না। বয়োবৃদ্ধ ও পঙ্গুদের সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করে থাকে। ব্যাপক মানবিকতার পরিচয় দিয়ে থাকে এসব নিরাপত্তাকর্মীরা।
নামাজ শেষে লাখো মুসল্লিদের ভিড় এড়িয়ে বয়স্কদের মসজিদ থেকে বের হতে তারা সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে থাকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।
গত এক সপ্তাহে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে নিরাপত্তাকর্মীদের উন্নত আচরণ ও মানবিকতা লক্ষ্য করেছে।
Advertisement
আগামী ২০ আগস্ট মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এ জমায়েতকে সামনে রেখে মক্কা শহর এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত।
প্রতি ওয়াক্তের দু’এক ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা ছুটে যান কাবা প্রাঙ্গণের দিকে। নারী-পুরুষদের সুষ্ঠুভাবে সালাত আদায়ে সুযোগ করে দিতে নিরাপত্তাকর্মীরা পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে থাকে।
ভেতরেও নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসল্লি প্রবেশের পর বিভিন্ন জোনে ভাগ করে দেয়া হয়ে থাকে। এ সময় তারা কঠোর নির্দেশনা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দেশনার ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তবে মানবিকতার বিষয়টিও ফুটে উঠছে।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement