দীর্ঘদিন যাবৎ লাইসেন্সবিহীন সরকার ক্ষমতায় থেকে সারাদেশে হত্যা, গুম, খুন করে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
Advertisement
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি শিশুরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, তাই আমরা সর্বক্ষেত্রে লাইসেন্স চাইছি। গাড়ি চালাতে যেমন লাইসেন্স দরকার তেমনি সরকার পরিচালনা করতে দেশের জনগণের মতামত দরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন : বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অপরাজেয় বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আজ আন্দোলনরত শিশুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, কারণ কী? তাদের দাবি ছিল রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন গাড়ি না চলা, লাইসেন্সবিহীন চালক সড়কে গাড়ি চালাতে পারবে না। কিন্তু এ সরকার নিশ্চুপ কেন, স্বাভাবিকভাবেই তাদের একটি দুর্বলতা আছে, ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের ভোটে যেতে হয়, কিন্তু তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। তারা নিজেরাই লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় আছেন। সে কারণে তাদের মনে আঘাত লেগেছে যে, ‘আমরা ক্ষমতায় আছি আমাদেরও তো লাইসেস নেই’।
Advertisement
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই শিশুরা আমাদের শিখিয়ে গেল রাজপথে নির্যাতন সহ্য করেও অধিকার আদায় করা যায়। আমাদেরও সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে মাঠে নামতে হবে।
কোমলমতি শিশু নির্যাতনকারীদের একদিন বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে অবশ্যই আজকের এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করার স্বপ্ন সফল হবে না। তাই সরকারকে বলবো ১৪ জানুয়ারি ভুলে যান, এবার খেলা হবে সমানে সমানে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আমরাও খেলবে, আপনারাও খেলবেন।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) এম আনোয়ারুল আজিম, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনি, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Advertisement
কেএইচ/জেডএ/এমএস