অর্থনীতি

চলমান পরিস্থিতিতে সংকটে রফতানি খাত : বিজিএমইএ

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ফলে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

Advertisement

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমই-এর ভবনে চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প। গত সপ্তাহে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঠিকমতো পোশাক শিল্পের আমদানি ও রফতানি পণ্য আনা নেয়া করতে পারেনি। ফলে বন্দরে কন্টেইনার ভর্তি রফতানি পণ্য পড়ে আছে।

আর জাহাজীকরণের অপেক্ষায়ও আছে তৈরি পণ্য। এ অবস্থায় যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনেক কারখানা স্টকলটের শিকার হবে। অনেক কারখানা এয়ার ফ্রেইট করতে বাধ্য হবে।

Advertisement

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, এরই মধ্যে অনেক বায়ার বাংলাদেশে তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছে। রফতানিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের পোশাক শিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পোশাক মালিকদের এ নেতা।

তিনি বলেন, আমরা যখন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সব শর্ত পূরণ করে নিজেদের মতো চলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আমাদের পিছিয়ে দেয়। শিল্প ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, যা মোটেই কাম্য নয়।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিরাপদ সড়কের ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সমস্যা কোথায়। এখন সেই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। নিরাপদ সড়কের জন্য কঠোর আইন যেমন দরকার তেমনি এর প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রী চালকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দ্বারা গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমই সভাপতি বলেন, দুই একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে বায়াররা তাদের ট্রিপ ক্যানসিল করেছে। তবে কোন অর্ডার ক্যানসিল হয়নি। আমরা আশা করি দ্রুত এই পরস্থিতির উন্নতি ঘটবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছিরসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এসআই/এমআরএম/এমএস