তিন সিটি থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে অন্য জেলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘তিন সিটিতে ওয়ারেন্ট ছাড়া বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আদালত ও ইসির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গ্রেফতার চলছে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে অন্য জেলায় গ্রেফতার দেখাচ্ছে। পুলিশ সেখানে ইসি ও উচ্চ আদালতের কথা মানছে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, আগামী তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হবে।'
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন নিরোপেক্ষ সরকারের দাবিতে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রে আমাদের কোনো এজেন্ট যেতে পারবে না। গেলেও তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হবে।’
Advertisement
মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দুইটি পথ আছে- একটি হলো গণ-আন্দোলন, অন্যটি ভোটযুদ্ধ। এই দুইভাবে বর্তামন সরকারের পতন ঘটানো হবে। ভোট যুদ্ধের আগে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় তখন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। আমাদের সুশীল সমাজ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকলে চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া ও ২০ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। সেটা ছিল বয়কটের নির্বাচন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দল ও দেশের ইসলামপন্থী সকল দল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করেছিল।
সরকারের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘লাখ লাখ টন কয়লা উধাও হয়ে গেল। এটা তো একটা ব্রিফকেসে করে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো জিনিস না। প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি ও প্রতিমন্ত্রী কেউ এবিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। এর মানে হল- তাদের মধ্যে কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
Advertisement
কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম