বিশ্বব্যাপী রফতানি বানিজ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, বাণিজ্য নিয়ে টেনশন বাড়লে সেটি ভূ-রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক আরোপ এবং অন্য দেশগুলোর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনায় এ উদ্বেগ বাড়ছে। এর ফলে মধ্য মেয়াদে বাণিজ্য উন্নয়নের যে সম্ভাবনা ছিল সেগুলো বাধাগ্রস্ত হবে। অনিশ্চয়তা বাড়লে বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগ্রস্ত হবে।
Advertisement
বুধবার প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বাণিজ্য-যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রতি ত্রৈ-মাসিক ভিত্তিতে আইএমএফ পূর্ভাবাস প্রতিবেদন হালনাগাদ করে প্রকাশ করে।
এবছরের (২০১৮) শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। যা আগামী বছরও একই হারে বাড়বে বলে উল্লেখ করেছে আইএমএফ। গত এপ্রিল মাসের প্রতিবেদনেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হবার পূর্ভাবাস দেয়া হয়েছিল। এবারের প্রতিবেদনে সামগ্রিক পূর্বাভাস পরিবর্তন করা হয়নি।
তবে জুলাইয়ের প্রতিবেদনে ইউরোপ, জাপান এবং যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে কমিয়ে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলো আগের হিসাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
বিশ্ববাজারে জ্বলানি তেলের দর বৃদ্ধির আশঙ্কা, বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি এবং কিছু মুদ্রার উপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইএমএফ পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি।
আইএমএফ মনে করে, মধ্য মেয়াদে আর্থিক বাজার স্থিতিশীল থাকার পূর্বাভাস দেয়া হলেও এটি দ্রুত পরিবর্তীত হতে পারে। বাণিজ্য নিয়ে টেনশন বাড়লে সেটি ভূ-রাজনীতিকেও প্রভাবিত করবে। বেকারত্ব কম হবার পরেও যদি পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পায় সেক্ষেত্রে সুদের হার বৃদ্ধির চাপ বাড়বে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা চাপে পড়বে। এর ফলে ডলারের বিনিময় হারও চাপে বাড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমএ/এমবিআর/আরআইপি
Advertisement