হঠাৎ কি ব্যাটিংটাই ভুলে গেল বাংলাদেশ? যে দলটি গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেট নাড়িয়ে দেয়ার মতো অনেকগুলো সাফল্য পেয়েছে, সেই দলটি রাতারাতিই নেমে গেল তলানিতে! প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেটের পরাশক্তি আর নয় এখন। বিদেশের মাটিতে হয়তো বিরূপ উইকেটে খেলতে হচ্ছে, তাই বলে দুই টেস্টে একবারও ২০০ রান করতে পারবে না টাইগাররা? উইকেট কি এতটাই 'আনপ্লেয়েবল' ছিল? দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল মোটেই এমন কিছু বলে অজুহাত দাঁড় করাতে রাজি নন। দলের ব্যাটিংয়ে তিনি নিজেও ভীষণ বিস্মিত।
Advertisement
প্রথম টেস্টে তিনদিনে হার, দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানের জবাবে ১৪৯ রানে অলআউট হবার পরও। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে যে স্বাগতিকদের ১২৯ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা! জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩৫ রানের।
একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১২১ রান। উইকেট যেমন ছিল, টেস্টটা জেতার ভালো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের, ব্যাটসম্যানরা যদি একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারতেন। কিন্তু কেউ সেটা পারলেন না। দ্বিতীয় ইনিংসে এক সাকিব ছাড়া হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি কেউ। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ১৬৮ রানে।
সাকিবের মতো আর দুই একজন বড় ইনিংস খেলতে পারলে জয়টাও অসম্ভব ছিল না। তামিম মনে করছেন, তারা যেমন ব্যাটিং করেছেন, সেটির ব্যাখ্যা কিছুই হতে পারে না। তিনি বলেন, 'যা ঘটেছে, ব্যাখ্যা দেয়ার কিছু নেই। আমরা শুধু নিজেদেরই দোষারোপ করতে পারি। আমাদের এমন ব্যাটিং মোটেই মেনে নেয়ার মতো নয়। আমরা কঠিন একটা উইকেটে খেলেছি। তবে সেটা আনপ্লেয়েবল ছিল না।'
Advertisement
ক্যারিবীয়রা ভালো বোলিং করেছে, মানতে আপত্তি নেই তামিমের। তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কোনো ইনিংসেই ২০০ করতে পারবে না, এটা বিশ্বাস করতে পারছেন না বাঁ-হাতি এই ওপেনার, 'অবিশ্বাস্য কিছু ডেলেভারি ছিল। তবে এতটা কঠিনও ছিল না যে আমরা কোনো ইনিংসেই ২০০ করতে পারব না। এমনকি আজও (টেস্টের তৃতীয় দিন), আমরা ৩৩০ বা ৩৪০ করতে পারিনি। অথচ এটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। যদি আমরা আরও বেশি সময় লড়াই করতে পারতাম, তবে এটা দারুণ একটা ম্যাচ হতো।'
এমএমআর/পিআর