মস্কোর রেড স্কয়ারে যান, এক দল স্বেচ্ছাসেবক দাঁড়িয়ে আপনাকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে। লুঝনিকি স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোতে গেলে একই অবস্থা। আপনি কোন দিকে যাবেন, কিভাবে যাবেন তা বাতলিয়ে দিতে দাঁড়িয়ে আছেন স্বেচ্ছাসেবকের দল।
Advertisement
এবারের বিশ্বকাপে স্বেচ্ছাসেবকদের পোষাকের রং লাল। এই লালবাহিনীর সদস্যদের হাসিমুখে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা, বিশ্বকাপ দেখতে আসা ভীনদেশিদের জন্য ছিল অনন্য ঘটনা। স্বেচ্ছাসেবকদের এই হাসিমুখকে ‘বিশ্বকাপের প্রাণ’ হিসেবে উল্লেখ করলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
কেমন হলো রাশিয়া বিশ্বকাপ? সে বর্ণনা দিতেই শুক্রবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ফিফা। এত বড় টুর্নামেন্ট শেষের পথে। তার মূল্যায়ন যখন করবে ফিফা, তখন প্রেসিডেন্টকে ঘিরে থাকবেন নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তরা-এমনই হয়ে থাকে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে। বাংলাদেশ হলে তো সদস্যদের ভারে ভেঙ্গে পড়তো মঞ্চ।
না, অন্য কাউতে নয়, ইনফান্তিনো মঞ্চে উঠলেন একা। ফিফার এক অফিসিয়াল থাকলেন সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালক হিসেবে। ইনফান্তিনো সংবাদ সম্মেলন কক্ষে প্রবেশের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের মুখে হাসি, উচ্ছ্বাস। কেন? ফিফা প্রেসিডেন্ট যে তাদের স্বেচ্ছাসেবকদের লাল রঙের পোষাক পড়ে এসেছেন।
Advertisement
শুধু গায়ে পোষাকই নয়, মুখেও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। রাশিয়া বিশ্বকাপ সর্বকালের সেরা-এ বর্ণনা দিতে গিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট বললেন ‘ওদের হাসিমুখটা তো বিশ্বকাপের প্রাণ। তাদের ব্যবহার, আচার-আচরণের মধ্যে দেশটির কালচারও প্রকাশ পেয়েছে।’
ফিফা প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান ভাষায়ই রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন ‘পাসিবা রাশিয়া।’
আরআই/এমএমআর/পিআর
Advertisement