নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ নিয়ে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে চারজনের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। এর আগে সোমবার অজ্ঞাত পরিচয় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে নিখোঁজ দ্বীন ইসলাম, জনি ও ইমনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। তাদের বাড়ি বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায়। অপর মরদেহের পরিচয় এখনও মেলেনি। তবে এটি নিখোঁজ ওসমান গনির মরদেহ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তার কোনো আত্মীয়-স্বজন মরদেহের খোঁজে আসেনি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ওসমান গনির পরিবারের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করলে হস্তান্তর করা হবে। ট্রলারডুবির ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
গত ৮ জুলাই (রোববার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ১০০-১৫০ জন যাত্রী নিয়ে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ট্রলারটি ঘাটের পাশে নোঙর করে রাখা একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ট্রলারটির ছাদ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে গেলেও অনেকেই সাঁতরে তীরে উঠে পড়েন। তবে নিখোঁজ থাকেন ৫/৬ জন। এ ঘটনার পর ওইদিন রাত থেকেই বিআইডব্লিউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
শাহাদাত হোসেন/আরএআর/জেআইএম