জাতীয়

‘কোটা আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Advertisement

শনিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানবন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ায় দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের গরম ভাতে ছাই পড়েছে। তাই তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সাধারণ ছাত্র নামধারী কিছু দিগভ্রান্ত যুবককে দিয়ে দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অশ্লিল ভাষায় কটূক্তি ও আজেবাজে মন্তব্য করছে এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে, পরবর্তীতে ২০০১ সালের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবারো ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল। এভাবে মোট ২৯ বছর কোটায় কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি হয়নি। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিষ্পেষিত হয়েছে। কোটা সংস্কার বা বাতিল করার আগে ওই ২৯ বছরের হিসাব দিতে হবে।

Advertisement

এছাড়া এই ৩০% কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জড়িত। তাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও এই কোটা বহাল রাখা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তারা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা একটি অসাম্প্রদায়িক জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পরও যারা তাকে হত্যার হুমকি দেয়, তাকে নিয়ে নোংরা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, তারা আসলে কারা? তাদের আসল উদ্দেশ্যই বা কী? এদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং এদের পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম জামাল উদ্দিন, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাতীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. আজিজুল হাসান (এমরান), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংগঠনের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এনামুল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আহমেদ, লামিয়া খানম, দিলরুবা লাকী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্ম পরিষদের আহবায়ক আশিকুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি কেএম আবদুল্লাহ সোহাগ।

Advertisement

এফএইচ/এমবিআর/এমএস