কক্সবাজারের টেকনাফে আনুমানিক ১৫৯ কোটি ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদক ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার এস এম রকিব উল্লাহ ও জেলার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজের উপস্থিতিতে টেকনাফ ২ বিজিবি সদর দপ্তরে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।
ধবংসের তালিকায় রয়েছে, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা, দেশি-বিদেশি মদ, বিয়ারসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মিয়ানমারের সিগারেট ।
যার মধ্যে ৫২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৬৭টি ইয়াবা, এক হাজার ৪৭৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১৩ হাজার ৩০০ কেজি গাজা, ৬৯৫ লিটার চোলাই মদ, ৩ হাজার ৯৯০ ক্যান আন্দামান বিয়ার, ৩ হাজার ৩৭৩ ক্যান ডায়াব্লু বিয়ার, ৩ হাজার ৫১৮ ক্যান সিংগা বিয়ার, ৫৪৫ ক্যান চ্যাং বিয়ার, ৩৬০ ক্যান চেঞ্জ ক্লাসিক বিয়ার, ৭২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ২০৭ বোতল গ্রান্ড রয়েল হুইস্কি, ২২ বোতল গ্রান্ড হুইস্কি, ৩৯ বোতল গারদা মদ, ৫ বোতল ঈগল হুইস্কি, ৪ বোতল গোল্ড মদ, ৩ বোতল ডাবল ব্লাক, ১২ বোতল রয়েল ড্রাইগ্রান, ৩ বোতল মিয়ানমার ড্রাইগ্রান, ৩০ বোতল মেরিন হুইস্কি, ৯ বোতল ড্রাগন রাম, ১২ বোতল জামালিকা, ২ বোতল মিয়ানমার ওল্ডসহ ২৭ হাজার ৩২৫ প্যাকেট মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকার সিগারেট ধবংস করা হয়।
Advertisement
এর আগে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজারের আঞ্চলিক কমান্ডার এস. এম রকিব উল্লাহ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যত বড়ই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক জব্দ করতে বিজিবির অভিযান আরও গতিশীল করা হবে।
মাদক দ্রব্য পাচার এবং সেবনের কুফল সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করার পাশাপাশি তিনি মাদক নির্মূলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মিডিয়াকর্মীসহ সকল স্তরের নাগরিকদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদজামান চৌধুরী, কক্সবাজারের সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজ, টেকনাফের সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব চাকমা ও টেকনাথ থানার ওসি রনজিৎ বড়ুয়াসহ সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/পিআর
Advertisement