রাজনীতি

জাতীয় ঐক্য ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না : মাহবুব

জাতীয় ঐক্য ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় ঐক্য দরকার। বাংলাদেশের জাতীয় নেতারা আছে। আমি আশা করি তারা বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যের পথে আসবেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের অপকৌশল বন্ধের দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisement

খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐক্য যদি হয় তাহলে সরকার টিকে থাকার পথ থাকবে না। জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একার পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

তিনি বলেন, আজকে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, দেশে গণতন্ত্র কায়েমের জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রাজপথ উত্তপ্ত করা। আসুন আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করি।

মাহবুব বলেন, বেগম খালেদ জিয়াকে শুধু কারাগারে রাখা হয়নি। তাকে মানসিকভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার জন্য একটি পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। বার বার আমরা চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি কিন্তু সরকার তাদের পছন্দমত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাচ্ছেন। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু আমাদেরকে সেই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

Advertisement

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছয়টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমরা ভেবেছিলাম আইনি মাধ্যমে মুক্ত করা যাবে কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা জামিনযোগ্য। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাকে জামিন দিতে বাধ্য কিন্তু সেখানেও টালবাহানা করা হচ্ছে তাকে জামিন না দিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখে তার কারা জীবনকে দীর্ঘায়িত করছে সরকার।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলহাজ ভিপি ইব্রাহীম যুগ্ম সম্পাদক গাজীপুর জেলা বিএনপি, এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, সাইদুর রহমান তামান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

কেএইচ/এমআরএম/পিআর

Advertisement