ম্যাচের তখন ৯৩ মিনিট চলছে। রেফারির দেয়া অতিরিক্ত চার মিনিট শেষ হতে মাত্র এক মিনিট বাকি। তখনই কর্নার পায় কলম্বিয়া। ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে তখনও এগিয়ে ইংল্যান্ড। কোয়ার্টারের স্বপ্নবোনা ইংলিশদের হতাশ করে কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে কলম্বিয়াকে ১-১ সমতায় আনলেন ডিফেন্ডার ইয়ারি মানা। টুর্নামেন্ট তিনটি গোল করেছেন এই বার্সা তারকা। ম্যাচ গড়ালো এখন অতিরিক্ত সময়ে।
Advertisement
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দল ইংল্যান্ড। হামেস রদ্রিগেজ ছাড়া পুরো কলম্বিয়া দল যে ছন্নছাড়া সেটি আরও একবার বড় মঞ্চে ফুটে উঠলো। প্রথমে হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে ইয়ারি মিনার গোলে সমতায় থাকে প্রথম ৯০ মিনিট।
ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৬ মিনিটে বা-পাশে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। এশলি ইয়াংয়ের নেয়া শট পাঞ্চ করেন ডেভিড ওসপানিয়া। ১৬ মিনিটে স্টারলিং-ট্রিপিয়েরের দারুণ বোঝাপড়ায় ডান পাশ থেকে ট্রিপিয়েরের বাড়ানো বলে হ্যারি কেইনের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
১৯৯০ সালের পর কোয়ার্টার ফাইনাল পেরুতে না পারা ইংল্যান্ড বল নিজেদের দখলে রাখলেও পরিকল্পিত কোনো আক্রমণই আলোর মুখ দেখেনি কলম্বিয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের সামনে। ৪১ মিনিটে আবারও ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। তবে এবার শট নেন ট্রিপিয়ের। কিন্তু এটিও আলোর মুখ দেখেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য থেকেই।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সন্ধানে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ৫৭ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হ্যারি কেইনকে ফাউল করলে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ষষ্ঠ গোল করে ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় গোল।
গোল শোধে একের পর এক আক্রমণভাগের খেলোয়াড় নামাতে থাকেন কলম্বিয়ান কোচ হোসে পেকারম্যান। সুফল পায় তারা। ম্যাচের এক পর্যায়ে পুরো মাঝমাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে আক্রমণ বাড়াতে থাকে ফ্যালকাওর দল। ৮১ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন মোনাকোর এই স্ট্রাইকার। কিন্তু তার হেড ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়।
৮৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্যালকাও দূরপাল্লার দুর্বল শট কেবল হতাশাই বাড়ায় কলম্বিয়ার। খেলা যখন শেষের দিকে তখন ৯২ মিনিটে উরিবের ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। কিন্তু সেই কর্নার থেকে ৯৩ মিনিটে ইয়ারি মিনা হেড থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি ম্যাচকে নিয়ে যান অতিরিক্ত সময়ে।
আরআর/বিএ
Advertisement