পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অ্যাপসের মাধ্যমে বাংলাদেশি মাছ বিক্রি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রথম অ্যাপের মাধ্যমে মাছ বিক্রির উদ্যোগ শুরু করলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়ছে বেসরকারি পর্যায়েও।
Advertisement
রাজ্য সরকারের প্রথম উদ্যোগে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা মাছ বিক্রি হলেও এখন বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ করা মাছের পাশাপাশি তাজা মাছও বাঙালির রান্না ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছে। সম্প্রতি কলকাতার মুড়িঘণ্ট নামে একটি সংস্থা নিজস্ব ওয়েব সাইট ও অ্যাপ চালু করে মাছের বিপণন চালু করে। তারা অবশ্য গ্রাহকের বাড়তি আকর্ষণ বাড়িছে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে তারাই একমাত্র অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশি মাছ বিক্রি করছেন। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে তারা বিক্রি শুরু করেছে এবং তাতে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে বলে দাবি করছে সংস্থাটি। রাজ্য সরকারের মৎস্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্টেট ফিসারিজ ডিপার্টম্যান্ট কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌম্যজিৎ দাস জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি ‘স্মার্ট ফিস’ অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও শিলিগুড়ি ও বহরমপুরে এই অ্যাপ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা মাছ মিলছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে।
নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ পেয়ে গ্রাহকরাও দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছেন অ্যাপে মাছ কিনতে। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক আইন মেনে বাংলাদেশের মাছের রেণু বা ডিম এনে চাষ করে বড় করে কলকাতায় একটি সংস্থা ইতোমধ্যেই অ্যাপ ও ওয়েব সাইটের মাধ্যকে মাছ বিক্রি শুরু করেছে। শুনছি সেটাও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি কলকাতার নলবলে একটি অ্যাপভিত্তিক মাছের সংস্থা মুড়িঘণ্ট একটি আউট-লেট খুলে সেখানেও বাংলাদেশি মাছ বিক্রি শুরু করেছে।
Advertisement
সংস্থার উদ্যোক্তা মিহির সাহানা জাগো নিউজকে জানান, পুঁটি, সরপুঁটি, কৈ, পাবদা, শোল, মাগুর, টেংরাসহ বেশ কিছু দেশীয় প্রজাতির বাংলাদেশি মাছের রেণু বা ডিম এনে তারা নৈহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ঝিলে চাষ করছেন। সেই মাছ গুলোতেই তারা অ্যাপ ও সাইটের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছেন। ফলে প্রথম দিন থেকেই দারুণ সাড়া মিলছে।
এমআরএম/পিআর