তিউনিশিয়া বিশ্বকাপে এসেছে বলতে গেলে সবকিছু তছনছ করে। বাছাইপর্বের চূড়ান্ত পর্বে একটি ম্যাচও হারেনি আফ্রিকার এ দেশটি। দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপে আসা তিউনিশিয়া এখন বাজিমাত করতে চায় বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মতো দুটি দল। এবার তাদেরও চমকে দিতে চায় আফ্রিকার এ দেশটি।
Advertisement
তিউনিশিয়ার লেফট ব্যাক উসামা হাদ্দাদি বেশ আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বলেছেন, ‘আমরা একটি ভালো বাছাইপর্ব পার করেছি। এটা সহজ ছিলো না কিন্তু আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়েছি। আমরা জানি যে, বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব উতরানো আমাদের জন্য সহজ হবে না; যেখানে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের মত দুইটি দল রয়েছে। কিন্তু আমরা একটি চমক সৃষ্টি করার জন্য সবকিছুই করবো।’
চাপ না নিয়ে স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চান হাদ্দাদি। তিনি জানিয়েছেন, তিউনিশিয়া অন্য দলগুলোকে ভয় পেতে রাজি নয়, ‘আমাদের অন্য দলগুলো নিয়ে ভয় পাওয়া উচিত নয়। আমাদের আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। আমাদেরকে আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে তিউনিশিয়ার আসল চেহারা সবাইকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য।’
এরপর হাদ্দাদিকে জিজ্ঞেস করা হয় তাদের গ্রুপ সম্পর্কে। বেলজিয়ামকে নিয়ে হাদ্দাদি বলেন, ‘আমি মনে করি বেলজিয়াম তাদের প্রজন্মের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা জানি তারা এই পর্যন্ত ব্যতিক্রম কিছু করে দেখাতে পারেনি। তারা ইউরো জেতেনি এবং গত বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স তেমন ভালোও ছিলো না। সেজন্যই বিখ্যাত নাম পরিবর্তন গড়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। কিছু দলের দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় রয়েছে কিন্তু সাফল্য তার ওপর নির্ভর করে না। একটি জাতীয় দল সমষ্টিগত। হ্যাজার্ড দারুণ একজন খেলোয়াড়। এছাড়াও ডি ব্রুইন, মার্টেন্সরাও সেরা খেলোয়াড় যাদের মুখোমুখি আমরা হব।’
Advertisement
ইংল্যান্ড আর পর্তুগাল নিয়ে হাদ্দাদির বিশ্লেষণ, ‘ইংল্যান্ডেরও রয়েছে কেইন, স্টার্লিং, লিংগার্ড এবং কিছু দ্রুত ও আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। কিন্তু আমাদেরও একটি দুর্দান্ত গ্রুপ রয়েছে। যদি আমরা পর্তুগালের দিকে তাকাই, তাদের তেমন ভালো খেলোয়াড় বেশি নেই। রোনালদো এবং আরো দুই তিনজন ছাড়া। কিন্তু এটা এমন একটা দল যারা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। এটাই ফুটবল।’
ডিকেটি/এমএমআর/এমএস